অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে। এবার অযোধ্যায় তৈরি হতে যাচ্ছে ‘মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ’ নামে বিশাল মসজিদ। আর এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য মক্কা থেকে অযোধ্যায় আসছে একটি পবিত্র ইট। কালো মাটিতে তৈরি এই ইটের গায়ে সোনা দিয়ে লেখা রয়েছে পবিত্র কোরআনের আয়াত। ইটটি ইতিমধ্যেই ভারতে এসে পৌঁছেছে। তবে অযোধ্যায় পৌঁছবে এপ্রিল মাসে। আর তারপরই শুরু হবে এই মসজিদের নির্মাণ।
২০১৯ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা রাম মন্দিরকে দেওয়ার সময় অযোধ্যাতেই একটি মসজিদ তৈরির জন্য মুসলিম পক্ষকে ৫ একর জমিদানের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদ তৈরির ৫ একর জমি বরাদ্দ করে উত্তর প্রদেশ সরকার। মসজিদের নির্মাণকাজ তদারকির জন্য ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন বা আইআইসিএফ নামে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেছে উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
আইআইসিএফ-এর কর্তারা জানিয়েছেন, ওই পবিত্র ইটটি নিয়ে মক্কা গিয়েছিলেন ট্রাস্টের কয়েকজন কর্তা। তারপর তারা মক্কা থেকে ইটটি ভারতে ফিরিয়ে এনেছেন। চলতি বছরে ঈদের পরই বহু প্রতীক্ষিত মসজিদটির নির্মাণ শুরু হবে।
আইআইসিএফ-এর অন্যতম সদস্য হাজি আরাফাত শেখ বলেছেন, ‘এটা আল্লাহর কাজ। তার ইচ্ছায় ইসলামের পবিত্রতম শহর থেকেই এই কাজ শুরু করার থেকে ভালো কিছু হয় না। তাই আমরা মক্কা থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি মহারাষ্ট্র থেকে মক্কায় সদ্য তৈরি করা একটি ইট নিয়ে গিয়েছিলাম। পবিত্র জমজম কুয়ার পানিতে ইটটিকে গোসল করিয়েছিলাম। তারপরে আমরা ইটটি মদিনা শরীফে নিয়ে যাই এবং আরও একবার গোসল করাই এবং সেখানে নামাজ পড়ি। ২ ফেব্রুয়ারি মহারাষ্ট্রে ইটটি ফেরত আনা হয়েছে। এরপর ইটটি আজমীর শরীফে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে নামাজের পর অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া হবে ‘
তিনি আরও জানিয়েছেন, অযোধ্যায় কীভাবে ইটটি নিয়ে যাওয়া হবে, তার পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত করা যায়নি।
আইআইসিএফ জানিয়েছে, অনেকেই বলছেন ইটটি পায়ে হেঁটে নিয়ে যেতে। তাতে ৩০ দিন সময় লাগবে। আবার কেউ কেউ বলছে সড়কপথে গাড়িতে বা ট্রেনে করে নিয়ে যেতে। কারণ আমাদের অযোধ্যায় যাত্রার সময় আমাদের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষ থাকবেন।”
আরাফাত শেখ জানিয়েছেন, পুরো যাত্রাটি এমনভাবে পরিকল্পনা করা হবে যাতে এপ্রিলের মধ্যেই ইটটি অযোধ্যায় পৌঁছয়। মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে আর দেরি করতে চায় না মসজিদ কমিটি।
হাজী আরাফাত আরও বলেছেন, প্রাথমিকভাবে এই মসজিদ একেবারে আধুনিক সৈলিতে নির্মাণের কথা বাবা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন ইসলামি গোষ্ঠীর আপত্তিতে, অনেক বেশি ঐতিহ্যবাহী শৈলিতে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply